মিশুদের পরিবার সেবা ও সামগ্রী অর্জন করে পরিতৃপ্তি পায়। জীবনে বেঁচে থাকার জন্য তাদের মানের প্রয়োজন। এই মানকে মিশুরা বিভিন্নভাবে আখ্যায়িত করে।
রফিক ভবিষ্যতে শিল্পপতি হতে চান। শিল্পপতি হওয়ার জন্য তিনি বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেন। তিনি এ কারণে শ্রমিক নির্ধারণ, পণ্য ও যন্ত্রপাতি ক্রয় করেন।
টুটুলের পরিবারটি তার বাবা-মা ও টুটুলসহ একটি একক পরিবার। পারিবারিক জীবনের অভিজ্ঞতা টুটুলের সার্বিক বিকাশ সাধন করে। এই অভিজ্ঞতার প্রভাব টুটুলের মায়ের চেয়ে টুটুলের মধ্যে বেশি ঘটে।
আনিকাকে কোন স্কুলে ভর্তি করানো হবে তা নিয়ে পরিবারের সদস্যরা আলোচনা করতে লাগলো। আনিকার বাবা বাড়ি থেকে স্কুলের দূরত্ব, পড়াশোনার মান প্রভৃতি চিন্তা করে একটি স্কুলের কথা বললেন। অবশেষে তারা আনিকাকে সেই স্কুলেই ভর্তি করানোর সিদ্ধান্ত নিলো।
সেলিনা রহমান তার বাসার জন্য একটি ফ্রিজ কিনবেন। বেতনের অর্থ দিয়ে পরিবারের জন্য আসবাব নয়তো পোশাক ক্রয় করতে পারবে। দুটির মধ্যে বিকল্প একটিকে বাছাই করতে হবে। সেলিনা রহমান এই বাছাই প্রক্রিয়া ব্যক্তিগতভাবে করবেন। বাছাই প্রক্রিয়া মূল্যায়নে তাকে অনেক বিষয় চিন্তা করতে হবে।
আরিফা তার গৃহস্থালীর জমা খরচের হিসাব একটি বইয়ে লিখে রাখেন। নতুন বছরে এই বইটি তিনি তার স্বামীর কাছ থেকে উপহার পান। এই বই আরিফাকে বিশেষ সুবিধা প্রদান করে।
অরূপা স্বনামধন্য উকিল। তিনি তার আয় ব্যয়ের তালিকা সতর্কতার সাথে নথিবদ্ধ করে রাখেন। অরূপা তার ক্লাইন্ট সংক্রান্ত ও পরিবারের বিভিন্ন হিসাব একটি পদ্ধতিতে নথিবদ্ধ করে রাখেন।
নুসরাত প্রতি মাসে বাজেট তৈরি করেন। এর ফলে তিনি সুন্দরভাবে নির্ধারিত আয়ে সংসার চালাতে পারেন। মাস শেষে তিনি সঞ্চয়ও করতে পারেন।
সীমার মা একজন গৃহিণী। তিনি সংসারের কাজ জটিল উপায়ে করতে গিয়ে সময় নষ্ট করে ফেলেন। সীমা তার মাকে বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে কাজ করার একটি পদ্ধতির কথা বলেন। এই পদ্ধতিতে সহজে কাজ করতে হলে কিছু পরিবর্তনের প্রয়োজন।
ফরিদ মিয়া একজন দিনমজুর। তার শারীরিক পরিশ্রমের পর কাজ করার স্পৃহা কমে যায়। শারীরিক অবসাদ ছাড়াও মাঝে মাঝে তার শরীরে দুই ধরনের মানসিক অবসাদ দেখা যায়।
নাসরিন যৌথ পরিবারের গৃহ ব্যবস্থাপক। তাদের বাড়িতে শিশুর সংখ্যাও বেশি। নাসরিনকে সারাদিন অনেক কাজ করতে হয়। শক্তি ব্যয় বেশি হওয়ায় তিনি দিনের শেষে অনেক বেশি ক্লান্ত হয়ে পড়েন।
আসিফ সাহেব নিজেই তার বাড়ির নকশা করে গৃহ নির্মাণ কাজ শুরু করেন। এরপর থেকে তিনি গৃহ নির্মাণ করতে চেয়ে বিভিন্ন রকম সমস্যায় পড়ছেন এবং নকশা পরিবর্তন করতে বাধ্য হচ্ছেন।
এ. আর রহমান একজন স্থপতি। তিনি একটি ভবন নির্মাণের দায়িত্ব পেলেন। তিনি ইমারত নির্মাণ বিধিমালা অনুসারে চারপাশ খোলা রেখে ভবন নির্মাণের পরিকল্পনা করলেন। নকশা পরিকল্পনায় তিনটি মূল এলাকা নির্বাচন করলেন।
রুনা বাসগৃহ নির্বাচনের ব্যাপারে খুব সচেতন। সে তার সহকর্মীদের এ ব্যাপারে সচেতন করে। সে বলে, "উপযুক্ত গৃহই আমাদের সুস্থ ও সুন্দর জীবনের চাবিকাঠি।"
প্রাকৃতিক উপায়ে আলোর ব্যবস্থা কেবল দিনেই সম্ভব। তবে রাতে আলোর প্রয়োজন মেটানোর জন্য একটি বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
রাফিদের বাড়ির ভেতর ও বাইরের দেয়ালে এক ধরনের পেইন্ট করা হয়েছে যা চকচকে ও স্থায়ী সারফেস পানি দিয়ে ধৌত করা যায়।
তিথি একজন গৃহিনী। রান্নার কাজ করতে তার অধিক সময় রান্নাঘরে কাটে, কিছুদিন ধরে তিনি অত্যধিক গরম অনুভব করছেন। তিনি গৃহকর্তাকে বললেন বিশেষ ধরনের একটি ফ্যান দেয়ালের উপরের দিকে লাগাতে। তিনি এই ফ্যানের কার্যবিধিও বললেন।
জুলি যেকোনো অনুষ্ঠানে দুটি পদ্ধতিতে ফুল দিয়ে ঘর সাজায়। প্রথমটি মুক্ত চিন্তা ধারা ও দ্বিতীয়টি ইকেবানা। অনেক সময় বিকল্প হিসাবে প্লাস্টিকের ফুল দিয়েও সে পুষ্পবিন্যাস করে।
অপর্ণা বিভিন্ন দেয়ালসজ্জা দিয়ে ঘর সাজাতে পছন্দ করে। সে শোবার ঘরটি এক ধরনের ছবি দিয়ে সাজায়। দেয়াল সজ্জা ও ছবি টানানোর ক্ষেত্রে সে কিছু নিয়ম অনুসরণ করে থাকে।
স্নেহা তার পরিবারের সবচেয়ে ছোট সদস্য, তার বয়স চার বছর। স্নেহার বাবা-মা স্নেহার জন্য আলাদা ঘর ঠিক করলো, যেখানে স্নেহার আসবাব ও প্রয়োজনীয় জিনিস থাকবে।
নীরব বাড়ির ছাদে মরিচ, শিম, লেবু, টমেটো ও বেগুনের গাছ লাগালো। এক পর্যায়ে তার কিছু কিছু সবজিতে পোকার আক্রমণ হলো। পোকা দমন করার জন্য নীরবের বাবা তাকে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বললেন।
মারুফা একজন গৃহিণী। তিনি তার বাড়ির পিছনে সবজি বাগান করেন। প্রতিদিন মারুফা বাগানের যত্ন ও রক্ষণাবেক্ষণ করেন।
রিতা তার বাড়ির ছাদে বাগান করেছে। সকালে সে তার ছেলেমেয়েদের নিয়ে বাগানে কাজ করে। এতে সবাই আনন্দ পায়।
অনিক তার মামার সঙ্গে দুর্যোগ কবলিত একটি এলাকা পরিদর্শনে গেলেন। অনিকের মামা তাকে বললেন, দুর্যোগের পূর্বপ্রস্তুতি, দুর্যোগকালীন সতর্কতা, দুর্যোগ পরবর্তী ব্যবস্থাপনা থাকলে দুর্যোগের ক্ষয়ক্ষতি কমানো সম্ভব।
অসীমদের গ্রাম পদ্মা নদীর পাড়ে অবস্থিত। নদীতে ভূমিকম্প হওয়ার ফলে অসীমের গ্রাম পানিতে ভেসে গেল। ফলে আকস্মিক দুর্যোগ সৃষ্টি হলো। অসীমরা নদী তীরে ব্যাপকভাবে বৃক্ষ কর্তন করে। এছাড়াও এই দুর্যোগ সৃষ্টির অনেক কারণ রয়েছে।
কাজলদের ফসলের মাঠে কীটনাশক প্রয়োগ করা হয়। বৃষ্টির পানিতে তা ধুয়ে পুকুরের পানিতে মেশে। এতে কাজলদের বাড়ির পুকুরের পানি দূষিত হয়।
সামিনা ৬১ মি. লম্বা এবং ৪৫ মি. চওড়া একটি নতুন কাপড়ে নকশা একে রঙিন সুতায় সেলাই করলো। নতুন কাপড়টির নিচে দিল আরো বিভিন্ন কাপড়। রান সেলাই দিয়ে রঙিন সুতায় কাপড়টির চারদিকে পাড় তৈরি করল।
অনুরাধা গ্রীষ্মের ছুটিতে পরিবারের সাথে কক্সবাজার বেড়াতে গেল। সেখানে চৈত্র সংক্রান্তির উৎসবে যাওয়ার জন্য এক উপজাতি সম্প্রদায়ের আমন্ত্রণ পেল। উৎসবে উপজাতিদের বর্ণাঢ্য নকশার পোশাক ও দেহে অলংকারের ব্যবহার দেখে অনুরাধা অবাক হলো।
নিরব আদিবাসিদের নিয়ে গবেষণার কাজে দিনাজপুর গেল। সেখানকার আদিবাসি রমনীদের কাপড় পড়ার ঢং নিমাঙ্গ ও উর্ধাঙ্গ দুখন্ডে বিভক্ত। আর মহিলারা শাড়ির পাশাপাশি অলংকারও বেশি ব্যবহার করে।
আদিবার মা ডাক্তার। তিনি অবসর সময়ে আদিবার জন্য পোশাক ক্রয় করেন কিছু বিষয় বিবেচনা করে। চেম্বারে যাওয়ার সময় তিনি সাদা অ্যাপ্রোন পরেন যা তাকে নির্দিষ্ট পরিচয় প্রদান করে এবং তা অন্য পোশাক থেকে ও ভিন্ন।
ফ্যাশন ডিজাইনার অপি নতুন পোশাক তৈরিতে পাশ্চাত্য সমাজের ভাবধারা অনুসরণ করেন। নতুন ফ্যাশন তৈরিতে তিনি বস্ত্রশিল্পের উন্নয়ন লক্ষ করেন।
মৃদুল ডিজাইনার পোশাকে নিজস্ব ডিজাইন ব্যবহার করেন। এই ডিজাইনের ধারণা মৃদুল বিভিন্ন উৎস থেকে লাভ করেন।
রাহাত বিসিকে একটি প্রিন্টিং প্রশিক্ষণ নিচ্ছে। প্রশিক্ষক কাপড়ে বিভিন্ন রং প্রয়োগে বিভিন্ন ফ্রেম ব্যবহার করল। এতে প্রিন্টের টেবিল ও এক্সপোজার বক্স ছাড়াও অনেক প্রয়োজনীয় সামগ্রীর ব্যবহার রয়েছে।
কনা একটি কামিজে মোম দিয়ে নকশা তৈরি করছে। মোমের মিশ্রণ তৈরিতে কণা প্রুশিয়ান রং ব্যবহার করল ১০ গ্রাম।
মৌসুমির বুটিকশপ আছে। মৌসুমি তার পোশাকে যে প্রিন্ট ব্যবহার করেন তা প্রথম ইউরোপের বস্ত্র ছাপায় ব্যবহৃত হয়েছিল। তিনি বস্ত্র ছাপার কাজে কাঠের ডায়েস, প্রাকৃতিক উপাদান যেমন- ঢেঁড়স, আলু, গাজর প্রভৃতি ব্যবহার করেন। প্রিন্টিং কাজের প্রয়োজনীয় সরঞ্জামও রয়েছে তার।
টুম্পা গোলাকার চেহারার মিষ্টি মেয়ে। মামার কাছ থেকে উপহার পাওয়া ভি গলার জামাটি পরাতে তার অবয়বে লম্বা ভাব এসেছে। টুম্পার জামার ডিজাইনে বৈচিত্র্যতা আনতে তার দৈহিক বৈশিষ্ট্য বিবেচনা করতে হয়।
শিপুর মুখাকৃতি গোলাকার প্রকৃতির, সে সবসময় তার দেহাকৃতি অনুযায়ী পোশাক নির্বাচন করে। শিপু ব্লাউজ বা কামিজ বানানোর সময় ইয়ক, চিকন টাকস ব্যবহার করে। এটি শিপু ত্রুটি দূর করতেও ব্যবহার করে।
পলি তার পোশাকে এমন রেখা ব্যবহার করে যা পরিধানে তার মধ্যে বিশ্রাম ও আরামের অনভূতি আসে। অন্যদিকে মলি তার পোশাকে ঢেউ খেলানো রেখা দিয়ে নকশা সৃষ্টি করে থাকে।
রিপাদের ব্যবহারিক ক্লাসের শিক্ষিকা সুচি নকশায় একটি নতুন ফোঁড় দেখাচ্ছেন। একটি বড় চেইন ফোঁড় তৈরি করে উপরের অংশে একটি ছোট ফোঁড় দিয়ে কাপড়ের সাথে আটকে দিল। বিভিন্ন ধরনের নকশায় তিনি এই ফোঁড়টি ব্যবহার করলেন।
রিপাদের ব্যবহারিক ক্লাসের শিক্ষিকা সুচি নকশায় একটি নতুন ফোঁড় দেখাচ্ছেন। একটি বড় চেইন ফোঁড় তৈরি করে উপরের অংশে একটি ছোট ফোঁড় দিয়ে কাপড়ের সাথে আটকে দিল। বিভিন্ন ধরনের নকশায় তিনি এই ফোঁড়টি ব্যবহার করলেন।
শতরূপা টেইলার্সের দর্জি তার সেলাই মেশিনের যত্ন নেওয়া অত্যাবশ্যক মনে করেন। তিনি মেশিন যত্ন নেওয়ার ক্ষেত্রে কিছু বিষয়ও অনুসরণ করেন।
তনুর সিল্কের শাড়িটি কাটা তারে খোঁচা লেগে ছিঁড়ে যায়। শাড়ির সুতা আলগা করে ছেঁড়া অংশ ভরাট করে তা মেরামত করেন। এভাবে তিনি আরো বিভিন্ন ছেঁড়া কাপড় মেরামত করেন।
রিপার মা শীতকালে তাকে ফুল হাতার ফ্রক তৈরি করে দেয়। গ্রীষ্মকালে অতিরিক্ত গরমের কারণে সেই পোশাকটির সংস্কার করেন। তিনি রিপার পোশাকের অংশ পৃথক করে বিভিন্নভাবে তা পরিধান করান।
রোহান কফি খাওয়ার সময় পোশাকে কফির দাগ লাগিয়ে ফেলে। রোহান চা ও কফির দাগ অপসারণ পদ্ধতি জানেন। পূর্বে তিনি পোশাকে চায়ের দাগ তুলতে লেবুর রস আর বোরাক্স দ্রবণ ব্যবহার করেন।
Read more